বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
সবাই কে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও প্রানডালা অভিনন্দন। আশা করি ভালো আছেন সবাই বন্ধুরা । বন্ধুরা আসুন আজকে জেনে নেই বাংলা নববর্ষ / পহেলা বৈশাখ এর ইতিহাস, কে এটার প্রচলন শুরু করলো এবং কেন...
বাংলা নববর্ষ / পহেলা বৈশাখের ইতিহাস :
পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যের এক উৎসব। বাংলা বছরের প্রথম এই দিনটি অর্থাৎ বৈশাখ মাসের প্রথম দিনটি বাঙ্গালিরা নববর্ষ হিসেবে পালন করে থাকে। নববর্ষের এই দিনে আমরা বাংলা সংস্কৃতির কাছে ফিরে যেতে চাই এবং বাংলার বিভিন্ন হারিয়ে যাওয়া ব্যাপারগুলোর কাছে ফিরে যাই আমাদের শিকড়ের টানে। বৈশাখ আমাদের বাঙ্গালিয়ানা কে জাগিয়ে তুলে এবং আমরা যে বঙ্গ সন্তান এটা বার বার মনে করিয়ে দেয়।
কখন পলন করা হয় ঃ
পহেলা বৈশাখ তাই বাঙ্গালির প্রাণের উৎসব, বাঙালি সত্ত্বার উৎসব। পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শুভ নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নেয়। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন উৎসব। বিশ্বের সকল প্রান্তের সকল বাঙালি এ দিনে নতুন, বছরকে বরণ করে নেয়, ভুলে যাবার চেষ্টা করে অতীত বছরের সকল দুঃখ-গ্লানি। সবার কামনা থাকে যেন নতুন বছরটি সমৃদ্ধ ও সুখময় হয়।
ব্যাবসায়িরা কিবাবে উদযাপন করে :
বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা একে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষ্য হিসেবে বরণ করে নেয়। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪ই এপ্রিল অথবা ১৫ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। আধুনিক বা প্রাচীন যে কোন পঞ্জিকাতেই এই বিষয়ে মিল রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। বাংলা একাডেমী কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
কে প্রচলন করেন বাংলা সাল ও কবে ঃ
বাংলা সন যিনি প্রচলন করেন তিনি হচ্ছেন মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর। শংকর বালকৃষ্ণ দীক্ষিতের মতে, হিন্দু পঞ্জিকা সৃষ্টির তিনটি যুগ রয়েছে_১. বৈদিক যুগ (অবর্ণিত প্রাচীনকাল থেকে ১৩৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) ২. বেদান্ত-জ্যোতিষ যুগ (১৩৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৪০০ খ্রিস্টাব্দ) ৩. সিদ্ধান্ত-জ্যোতিষ যুগ (৪০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত)।
সেই তুলনায় সম্রাট আকবর (১৫৪২-১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ) তো সেদিনকার। জানা মতে, সম্রাট আকবরের সময় ভারতবর্ষে ৪০ ধরনের পঞ্জিকার প্রচলন ছিল। সারা দুনিয়ার মতোই এখানেও প্রধান প্রধান জাতি-গোষ্ঠীর নিজস্ব পঞ্জিকা ছিল। বাংলা সনের প্রচলনের আগে কৃষি ও ভূমি কর বা খাজনা আদায় হতো হিজরী বর্ষপঞ্জি অনুসারে। হিজরী বর্ষপঞ্জি চন্দ্রমাস নির্ভর বলে সব সময় কৃষি কর্মকাণ্ড অর্থবর্ষের সাথে মিলতো না। হিজরী সন বছরে ১০ দিন এগিয়ে যায় বলে ফসল উত্তোলন ও খাজনা আদায়ের মৌসুমে অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। কৃষি জীবিদের ফসলহীন ঋতুতে কর বা খাজনা দেবার জন্য বাধ্য করা হতো। একারনেই খাজনা আদায় ও শাসনকাজ পরিচালনার সুবিধার্থে সারা ভারতবর্ষের জন্য তিনি একটি অভিন্ন সন প্রথা প্রচলন করেছিলেন। সম্রাট আকবরের রাজকীয় জ্যোর্তিবিদ আমির ফতেউল্লাহ্ সিরাজী চন্দ্রমাস নির্ভর হিজরী বর্ষপঞ্জি এবং সৌরমাস নির্ভর হিন্দু বর্ষপঞ্জি গবেষণা করে একটি নতুন বর্ষপঞ্জি প্রস্তাব করেন। সম্রাট ৯৬৩ হিজরী, ২ রবিউছ ছানি, রোজ শুক্রবার, ইংরেজি ১৪ এপ্রিল ১৫৫৬ তারিখ থেকে পয়লা বৈশাখ পালনের রেওয়াজ শুরু করেন। ওইদিন সম্রাট আকবরের সিংহাসনে অভিষেক হয়। সে দিনটিকে স্মরণ রাখার জন্য সম্রাট আকবর তাঁর সাম্রাজ্যে সর্বত্রই হিজরী সনের পরিবর্তে সৌরবৎসর পালনের সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলেই সূচনা হলো বাংলা বর্ষপঞ্জির। বাংলা সনের সূচনা হয় ফসল তোলার সময়ে যখন কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে বছরের অন্য সময়ের চাইতে সচ্ছল থাকে। নতুন বর্ষপঞ্জি প্রথম দিকে ফসলী সন হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে শুরুর দিন কিন্তু ১ (প্রথম) সাল ছিল না, ছিল ৯৬৩ সাল। সম্রাট আকবরের আমলে ফারসী মাসের অনুকরণে বাংলা মাসগুলোর নাম ছিল যা পরবর্তীতে নানা ঘটনাক্রমে বিভিন্ন তারকার নামানুসারে বর্তমান নামে রূপান্তরিত বা প্রবর্তন করা হয়। আকবর কর্তৃক প্রবর্তিত তারিখ-ই-ইলাহী-র মাসের নামগুলি প্রচলিত ছিল ফারসী ভাষায়, যথা: ফারওয়াদিন, আর্দি, ভিহিসু, খোরদাদ, তির, আমারদাদ, শাহরিযার, আবান, আযুর, দাই, বহম এবং ইসক্নদার মিজ। বাংলা সনে বারো মাসের নামকরণ করা হয়েছে নক্ষত্রমন্ডলে চন্দ্রের আবর্তনে বিশেষ তারার অবস্থানের উপর ভিত্তি করে । এই নাম সমূহ গৃহিত হয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক প্রাচীন গ্রন্থ “সূর্যসিদ্ধান্ত” থেকে।
বাংলা বার মাসের নামকরণের ইতিহাস ঃ
বাংলা মাসের এই নামগুলি হচ্ছে
– বৈশাখ – বিশাখা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
জ্যৈষ্ঠ – জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
আষাঢ় – উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্রের নাম অনুসারে
শ্রাবণ – শ্রবণা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
ভাদ্র – পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্রের নাম অনুসারে
আশ্বিন – অশ্বিনী নক্ষত্রের নাম অনুসারে
কার্তিক – কৃত্তিকা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
অগ্রহায়ণ(মার্গশীর্ষ) – মৃগশিরা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
পৌষ – পুষ্যা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
মাঘ – মঘা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
ফাল্গুন – উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্রের নাম অনুসারে
চৈত্র – চিত্রা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
বাংলা নববর্ষের কিছু বাচাই করা শুভেচ্ছা এসএমএস ঃ
♣ একটু আলো, একটু আধার, বাতাসগুলো নদীর বুকে দিচ্ছে সাতার, কিছু দুঃখ, কিছু সুখ, সবচেয়ে সুন্দর এই বাংলার মুখ! ♣ বাংলা বর্ষ ১৪২৬ এর পদার্পনে শানিত হই নবপ্রাণে♣ ♥ শুভ নববর্ষ -১৪২৬ ♥
নতূন মন নতুন আসা, নতুন প্রান নতুন ভাষা, তুমি আমার মনের ভালবাসা, তাই তোমই জানাই ♣শুভ নববর্ষের প্রিতি ও শুবেচ্ছা-2019♣
♣পাখির ডানায় লিখে দিলাম নববর্ষের নাম, বন্ধু তোমরা উড়ে দেখো পাবে সুখের ঘ্রান। পুরোনো সব কষ্ট করে ফেলো নষ্ট। নতুন বছরের নতুন যাত্রা, হয় যেনো সুখ আর বিনোদনময়!♣ এই কামনায় তোমাদের জানাই ♥শুভ নববর্ষ (১৪২৬)♥
বাউল গানের স্যন্ধা তালে, নতুন বছর এসেছে ঘুরে, উদাসী হাওয়ার সুরে সুরে, রংগা মাটির পথটি জুড়ে । ♥শুভ নববর্ষ -2020♥
নিশি অবশান প্রায় ঐ পুরাতন বর্ষ হয়, গত আমি আজি ধূলিতলে জীর্ন জীবন করিলাম নত| বন্ধু হও শত্রু হও যেখানে যে রত, খমা কর আজিকের মত পুরাতন বর্ষর সাথে পুরাতন অপরাধ যত। হর্দম হৈ হৈ, বৈ এল ঐ, কলার পাতায় ইলিশ পান্তা| ঈসান কোনে মেঘের বার্তা| ♣শুভ নববর্ষ-(১৪২৬)♣
চৈত্রের রাত্রি শেষে, সূর্য আসে নতুন বেসে, সেই সূর্যের রঙ্গিন আলো, মুছে দিক তোমার জীবনের সকল কালো…! ♥-শুভ নববর্ষ-(১৪২৬)♥
নতুন সূর্য, নতুন প্রান। নতুন সুর, নতুন গান। নতুন উষা, নতুন আলো। নতুন বছর কাটুক ভাল। কাটুক বিষাদ, আসুক হর্ষ। শুভ হোক নববর্ষ। ♣সবাইকে নববর্ষের শুভেচছা-(১৪২৬)♣
নতুন আশা নতুন প্রান, নতুন হাসি নতুন গান, নতুন সকাল নতুন আলো,নতুন দিন হোক ভালো,দুঃখকে ভুলে যাই,নতুনকে স্বাগত জানাই। ♥শুভ নববর্ষ-(১৪২৬)♥
পানতা ইলিশ আর ভরতা বাজি বাঙ্গালীর প্রাণ.. নতুন বছর সবাই গাইবো বৈশাখের গান..এসো হে বৈশাখ এসো এসো...। ♣শুভ নভবর্ষ-(১৪২৬)♣
ফুল ফুটেছে বনে বনে... ভাবছি তোমায় মনে মনে... বলছি তোমায় কানে কানে... ♥শুভ নববর্ষ -2020♥
দিন যদি চলে যায় দিগন্তের শেষে, রাত যদি চলে যায় তারার দেশে, ভেব না বন্ধু আমি থাকব তোমাদের পাশে। *শুভ নববর্ষ*
পুরানো সব স্মৃতি করে ফেল ইতি, পুরানো সব কষ্ট করে ফেল নষ্ট, পুরানো সব বেদনা আর মনে রেখ না, পুরোনের হয়েছে মরন নতুন করে কর বরণ, সব কিছু মুছে ফেল মন থেকে, তাকাও নব সুর্যের দিকে। সূর্যটা হাসে, তোমায় ভালবাসে। তাই তোমাকে আমি জানাই নতুন বছরের শুভেচছা। ♣শুভ নববর্ষ♣
কালকে করিনী ম্যাসেজ ছিলনা ফোনে পয়সা.. আমি জানি আজ পাঠাবো রেখেছি মনে ভরসা !! নতূন বছরে ফোন করবে আমাকে করবে কেয়ার.. ভালবেসে বলছি তোমায় ... ♥শুভ নববর্ষ♥
তোরাই আমার বন্ধু যে, তোরাই আমার ডিয়ার, তাইতো আমি ভালোবেসে বলছি শুভ নববর্ষ। Good bye বলে শেষ করছি পুরোনো বছরের আশা, নতুন বছরের,নতুন সাজে জানাচ্ছি ভালোবাসা ! ♣শুভ নববর্ষ-১৪২৬♣
বসন্তের আগমনে কোকিলের সুর ! গ্রিস্মের আগমনে রোদেলা দুপুর ! বর্ষার আগমনে সাদা কাঁশফুল ! তাই তোমায় Wish করতে মন হল বেকুল ! *শুভ নববর্ষ=2019*
উদীত রবির প্রথম আলো দূর করবে সকল কালো। মেটবে মন আনন্দ ধারায় সবাই হবে বাধনহারা। দিনটি হক তোমার তরে মন ভরে উঠুক খুশির ঝরে। ♥শুভ নববর্ষ♥
ঝরে গেল আজ বসন্তের পাতা, নিয়ে যাক সঙ্গে সব মলিনতা । বৈশাখের সকালে, লাগুক প্রাণে আনন্দের এই স্পর্শ, মন থেকে আজ জানাই তোমায় শুভ নববর্ষ নতুন পোশাক নতুন সাঁজ। নতুন বছর শুরু আজ।মিষ্টি মন মিষ্টি হাঁসি।শুভেচ্ছা জানাই রাশি রাশি। ♣শুভ নববর্ষ♣
বার মাসে তের পার্বণ এবার এলো বলে,বাঙ্গালির একটি বছর বয়ে গেলো চলে! নতুন বছর আসুক শুধু আনন্দের স্মপর্শ, আমার তরফ থেকে আমার সকল বন্ধুদের জানাই *শুভ নববর্ষ=2019
♣ইলিশ মাছের ৩০ কাঁটা ♣ ♥ বোয়াল মাছের দাড়ি♥ ♣বৈশাখ মাসের ১ তারিখে ♣ ♥আইসো আমার বাড়ি♥ ♣ছেলে হলে পানজাবি ♣ ♥ মেয়ে হলে শাড়ি♥ করব বরন বন্ধু তোমায়♥ ♣আইসো আমার বাড়ি ♣ আপনাকে পহেলা বৈশাখের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল। ♣শুভ নববর্ষ-১৪২৬♣
তোরাই আমার বন্ধু যে, তোরাই আমার ডিয়ার, তাইতো আমি ভালোবেসে বলছি Happy new year. Good bye বলে শেষ করছি পুরোনো বছরের আশা, নতুন বছরের,নতুন সাজে জানাচ্ছি ভালোবাসা। ♣শুভ নববর্ষ-১৪২৬♣
আধার ভেদ করে সূর্যকিরণ প্রতি জীবন দুয়ারে পৌছে যাক যাপিত জীবনের যাবতীয় গ্লানি ভুলে, এসো রাঙিয়ে তুলি বাংলার নতুন বছর! ♥শুভ নববর্ষ♥
tag: bangla notun bocorer sms, bangla new year sms, bangla noborsher sms, bangla 12 masher namkoroner history, itihas, bangla noborsher history, pohela boisakhi sms,massage best collection, noborso wish sms, bangla noborso sms1425.noboborsho wish sns, bangla notun bocorer sms, pohela boisakhir wish sms,subecha sms,বাংলা নববর্ষের বাংলা এসএমএস, পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা এসএমএস, নতুন বছরের এসএসএম,বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ নতুন এসএমএস।বাংলা নববর্ষের ইতিহাস। কবে থেকে পহেলা বৈশাখ পালন / উদযাপন করা হয়, বাংলা মাসের নামকরন কিবাবে করা হয়,
সবাই কে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও প্রানডালা অভিনন্দন। আশা করি ভালো আছেন সবাই বন্ধুরা । বন্ধুরা আসুন আজকে জেনে নেই বাংলা নববর্ষ / পহেলা বৈশাখ এর ইতিহাস, কে এটার প্রচলন শুরু করলো এবং কেন...
বাংলা নববর্ষ / পহেলা বৈশাখের ইতিহাস :
পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্যের এক উৎসব। বাংলা বছরের প্রথম এই দিনটি অর্থাৎ বৈশাখ মাসের প্রথম দিনটি বাঙ্গালিরা নববর্ষ হিসেবে পালন করে থাকে। নববর্ষের এই দিনে আমরা বাংলা সংস্কৃতির কাছে ফিরে যেতে চাই এবং বাংলার বিভিন্ন হারিয়ে যাওয়া ব্যাপারগুলোর কাছে ফিরে যাই আমাদের শিকড়ের টানে। বৈশাখ আমাদের বাঙ্গালিয়ানা কে জাগিয়ে তুলে এবং আমরা যে বঙ্গ সন্তান এটা বার বার মনে করিয়ে দেয়।
কখন পলন করা হয় ঃ
পহেলা বৈশাখ তাই বাঙ্গালির প্রাণের উৎসব, বাঙালি সত্ত্বার উৎসব। পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে শুভ নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নেয়। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন উৎসব। বিশ্বের সকল প্রান্তের সকল বাঙালি এ দিনে নতুন, বছরকে বরণ করে নেয়, ভুলে যাবার চেষ্টা করে অতীত বছরের সকল দুঃখ-গ্লানি। সবার কামনা থাকে যেন নতুন বছরটি সমৃদ্ধ ও সুখময় হয়।
ব্যাবসায়িরা কিবাবে উদযাপন করে :
বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা একে নতুনভাবে ব্যবসা শুরু করার উপলক্ষ্য হিসেবে বরণ করে নেয়। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪ই এপ্রিল অথবা ১৫ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ পালিত হয়। আধুনিক বা প্রাচীন যে কোন পঞ্জিকাতেই এই বিষয়ে মিল রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল এই উৎসব পালিত হয়। বাংলা একাডেমী কর্তৃক নির্ধারিত আধুনিক পঞ্জিকা অনুসারে এই দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে।
কে প্রচলন করেন বাংলা সাল ও কবে ঃ
বাংলা সন যিনি প্রচলন করেন তিনি হচ্ছেন মুঘল সাম্রাজ্যের তৃতীয় সম্রাট জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর। শংকর বালকৃষ্ণ দীক্ষিতের মতে, হিন্দু পঞ্জিকা সৃষ্টির তিনটি যুগ রয়েছে_১. বৈদিক যুগ (অবর্ণিত প্রাচীনকাল থেকে ১৩৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) ২. বেদান্ত-জ্যোতিষ যুগ (১৩৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৪০০ খ্রিস্টাব্দ) ৩. সিদ্ধান্ত-জ্যোতিষ যুগ (৪০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে আধুনিককাল পর্যন্ত)।
সেই তুলনায় সম্রাট আকবর (১৫৪২-১৬০৫ খ্রিস্টাব্দ) তো সেদিনকার। জানা মতে, সম্রাট আকবরের সময় ভারতবর্ষে ৪০ ধরনের পঞ্জিকার প্রচলন ছিল। সারা দুনিয়ার মতোই এখানেও প্রধান প্রধান জাতি-গোষ্ঠীর নিজস্ব পঞ্জিকা ছিল। বাংলা সনের প্রচলনের আগে কৃষি ও ভূমি কর বা খাজনা আদায় হতো হিজরী বর্ষপঞ্জি অনুসারে। হিজরী বর্ষপঞ্জি চন্দ্রমাস নির্ভর বলে সব সময় কৃষি কর্মকাণ্ড অর্থবর্ষের সাথে মিলতো না। হিজরী সন বছরে ১০ দিন এগিয়ে যায় বলে ফসল উত্তোলন ও খাজনা আদায়ের মৌসুমে অসুবিধা দেখা দিয়েছিল। কৃষি জীবিদের ফসলহীন ঋতুতে কর বা খাজনা দেবার জন্য বাধ্য করা হতো। একারনেই খাজনা আদায় ও শাসনকাজ পরিচালনার সুবিধার্থে সারা ভারতবর্ষের জন্য তিনি একটি অভিন্ন সন প্রথা প্রচলন করেছিলেন। সম্রাট আকবরের রাজকীয় জ্যোর্তিবিদ আমির ফতেউল্লাহ্ সিরাজী চন্দ্রমাস নির্ভর হিজরী বর্ষপঞ্জি এবং সৌরমাস নির্ভর হিন্দু বর্ষপঞ্জি গবেষণা করে একটি নতুন বর্ষপঞ্জি প্রস্তাব করেন। সম্রাট ৯৬৩ হিজরী, ২ রবিউছ ছানি, রোজ শুক্রবার, ইংরেজি ১৪ এপ্রিল ১৫৫৬ তারিখ থেকে পয়লা বৈশাখ পালনের রেওয়াজ শুরু করেন। ওইদিন সম্রাট আকবরের সিংহাসনে অভিষেক হয়। সে দিনটিকে স্মরণ রাখার জন্য সম্রাট আকবর তাঁর সাম্রাজ্যে সর্বত্রই হিজরী সনের পরিবর্তে সৌরবৎসর পালনের সিদ্ধান্ত নেন। এর ফলেই সূচনা হলো বাংলা বর্ষপঞ্জির। বাংলা সনের সূচনা হয় ফসল তোলার সময়ে যখন কৃষকরা অর্থনৈতিক ভাবে বছরের অন্য সময়ের চাইতে সচ্ছল থাকে। নতুন বর্ষপঞ্জি প্রথম দিকে ফসলী সন হিসেবে পরিচিত ছিল। তবে শুরুর দিন কিন্তু ১ (প্রথম) সাল ছিল না, ছিল ৯৬৩ সাল। সম্রাট আকবরের আমলে ফারসী মাসের অনুকরণে বাংলা মাসগুলোর নাম ছিল যা পরবর্তীতে নানা ঘটনাক্রমে বিভিন্ন তারকার নামানুসারে বর্তমান নামে রূপান্তরিত বা প্রবর্তন করা হয়। আকবর কর্তৃক প্রবর্তিত তারিখ-ই-ইলাহী-র মাসের নামগুলি প্রচলিত ছিল ফারসী ভাষায়, যথা: ফারওয়াদিন, আর্দি, ভিহিসু, খোরদাদ, তির, আমারদাদ, শাহরিযার, আবান, আযুর, দাই, বহম এবং ইসক্নদার মিজ। বাংলা সনে বারো মাসের নামকরণ করা হয়েছে নক্ষত্রমন্ডলে চন্দ্রের আবর্তনে বিশেষ তারার অবস্থানের উপর ভিত্তি করে । এই নাম সমূহ গৃহিত হয়েছে জ্যোতির্বিজ্ঞান বিষয়ক প্রাচীন গ্রন্থ “সূর্যসিদ্ধান্ত” থেকে।
বাংলা বার মাসের নামকরণের ইতিহাস ঃ
বাংলা মাসের এই নামগুলি হচ্ছে
– বৈশাখ – বিশাখা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
জ্যৈষ্ঠ – জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
আষাঢ় – উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্রের নাম অনুসারে
শ্রাবণ – শ্রবণা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
ভাদ্র – পূর্বভাদ্রপদ নক্ষত্রের নাম অনুসারে
আশ্বিন – অশ্বিনী নক্ষত্রের নাম অনুসারে
কার্তিক – কৃত্তিকা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
অগ্রহায়ণ(মার্গশীর্ষ) – মৃগশিরা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
পৌষ – পুষ্যা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
মাঘ – মঘা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
ফাল্গুন – উত্তরফাল্গুনী নক্ষত্রের নাম অনুসারে
চৈত্র – চিত্রা নক্ষত্রের নাম অনুসারে
বাংলা নববর্ষের কিছু বাচাই করা শুভেচ্ছা এসএমএস ঃ
♣ একটু আলো, একটু আধার, বাতাসগুলো নদীর বুকে দিচ্ছে সাতার, কিছু দুঃখ, কিছু সুখ, সবচেয়ে সুন্দর এই বাংলার মুখ! ♣ বাংলা বর্ষ ১৪২৬ এর পদার্পনে শানিত হই নবপ্রাণে♣ ♥ শুভ নববর্ষ -১৪২৬ ♥
নতূন মন নতুন আসা, নতুন প্রান নতুন ভাষা, তুমি আমার মনের ভালবাসা, তাই তোমই জানাই ♣শুভ নববর্ষের প্রিতি ও শুবেচ্ছা-2019♣
♣পাখির ডানায় লিখে দিলাম নববর্ষের নাম, বন্ধু তোমরা উড়ে দেখো পাবে সুখের ঘ্রান। পুরোনো সব কষ্ট করে ফেলো নষ্ট। নতুন বছরের নতুন যাত্রা, হয় যেনো সুখ আর বিনোদনময়!♣ এই কামনায় তোমাদের জানাই ♥শুভ নববর্ষ (১৪২৬)♥
বাউল গানের স্যন্ধা তালে, নতুন বছর এসেছে ঘুরে, উদাসী হাওয়ার সুরে সুরে, রংগা মাটির পথটি জুড়ে । ♥শুভ নববর্ষ -2020♥
নিশি অবশান প্রায় ঐ পুরাতন বর্ষ হয়, গত আমি আজি ধূলিতলে জীর্ন জীবন করিলাম নত| বন্ধু হও শত্রু হও যেখানে যে রত, খমা কর আজিকের মত পুরাতন বর্ষর সাথে পুরাতন অপরাধ যত। হর্দম হৈ হৈ, বৈ এল ঐ, কলার পাতায় ইলিশ পান্তা| ঈসান কোনে মেঘের বার্তা| ♣শুভ নববর্ষ-(১৪২৬)♣
চৈত্রের রাত্রি শেষে, সূর্য আসে নতুন বেসে, সেই সূর্যের রঙ্গিন আলো, মুছে দিক তোমার জীবনের সকল কালো…! ♥-শুভ নববর্ষ-(১৪২৬)♥
নতুন সূর্য, নতুন প্রান। নতুন সুর, নতুন গান। নতুন উষা, নতুন আলো। নতুন বছর কাটুক ভাল। কাটুক বিষাদ, আসুক হর্ষ। শুভ হোক নববর্ষ। ♣সবাইকে নববর্ষের শুভেচছা-(১৪২৬)♣
নতুন আশা নতুন প্রান, নতুন হাসি নতুন গান, নতুন সকাল নতুন আলো,নতুন দিন হোক ভালো,দুঃখকে ভুলে যাই,নতুনকে স্বাগত জানাই। ♥শুভ নববর্ষ-(১৪২৬)♥
পানতা ইলিশ আর ভরতা বাজি বাঙ্গালীর প্রাণ.. নতুন বছর সবাই গাইবো বৈশাখের গান..এসো হে বৈশাখ এসো এসো...। ♣শুভ নভবর্ষ-(১৪২৬)♣
ফুল ফুটেছে বনে বনে... ভাবছি তোমায় মনে মনে... বলছি তোমায় কানে কানে... ♥শুভ নববর্ষ -2020♥
দিন যদি চলে যায় দিগন্তের শেষে, রাত যদি চলে যায় তারার দেশে, ভেব না বন্ধু আমি থাকব তোমাদের পাশে। *শুভ নববর্ষ*
পুরানো সব স্মৃতি করে ফেল ইতি, পুরানো সব কষ্ট করে ফেল নষ্ট, পুরানো সব বেদনা আর মনে রেখ না, পুরোনের হয়েছে মরন নতুন করে কর বরণ, সব কিছু মুছে ফেল মন থেকে, তাকাও নব সুর্যের দিকে। সূর্যটা হাসে, তোমায় ভালবাসে। তাই তোমাকে আমি জানাই নতুন বছরের শুভেচছা। ♣শুভ নববর্ষ♣
কালকে করিনী ম্যাসেজ ছিলনা ফোনে পয়সা.. আমি জানি আজ পাঠাবো রেখেছি মনে ভরসা !! নতূন বছরে ফোন করবে আমাকে করবে কেয়ার.. ভালবেসে বলছি তোমায় ... ♥শুভ নববর্ষ♥
তোরাই আমার বন্ধু যে, তোরাই আমার ডিয়ার, তাইতো আমি ভালোবেসে বলছি শুভ নববর্ষ। Good bye বলে শেষ করছি পুরোনো বছরের আশা, নতুন বছরের,নতুন সাজে জানাচ্ছি ভালোবাসা ! ♣শুভ নববর্ষ-১৪২৬♣
বসন্তের আগমনে কোকিলের সুর ! গ্রিস্মের আগমনে রোদেলা দুপুর ! বর্ষার আগমনে সাদা কাঁশফুল ! তাই তোমায় Wish করতে মন হল বেকুল ! *শুভ নববর্ষ=2019*
উদীত রবির প্রথম আলো দূর করবে সকল কালো। মেটবে মন আনন্দ ধারায় সবাই হবে বাধনহারা। দিনটি হক তোমার তরে মন ভরে উঠুক খুশির ঝরে। ♥শুভ নববর্ষ♥
ঝরে গেল আজ বসন্তের পাতা, নিয়ে যাক সঙ্গে সব মলিনতা । বৈশাখের সকালে, লাগুক প্রাণে আনন্দের এই স্পর্শ, মন থেকে আজ জানাই তোমায় শুভ নববর্ষ নতুন পোশাক নতুন সাঁজ। নতুন বছর শুরু আজ।মিষ্টি মন মিষ্টি হাঁসি।শুভেচ্ছা জানাই রাশি রাশি। ♣শুভ নববর্ষ♣
বার মাসে তের পার্বণ এবার এলো বলে,বাঙ্গালির একটি বছর বয়ে গেলো চলে! নতুন বছর আসুক শুধু আনন্দের স্মপর্শ, আমার তরফ থেকে আমার সকল বন্ধুদের জানাই *শুভ নববর্ষ=2019
♣ইলিশ মাছের ৩০ কাঁটা ♣ ♥ বোয়াল মাছের দাড়ি♥ ♣বৈশাখ মাসের ১ তারিখে ♣ ♥আইসো আমার বাড়ি♥ ♣ছেলে হলে পানজাবি ♣ ♥ মেয়ে হলে শাড়ি♥ করব বরন বন্ধু তোমায়♥ ♣আইসো আমার বাড়ি ♣ আপনাকে পহেলা বৈশাখের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল। ♣শুভ নববর্ষ-১৪২৬♣
তোরাই আমার বন্ধু যে, তোরাই আমার ডিয়ার, তাইতো আমি ভালোবেসে বলছি Happy new year. Good bye বলে শেষ করছি পুরোনো বছরের আশা, নতুন বছরের,নতুন সাজে জানাচ্ছি ভালোবাসা। ♣শুভ নববর্ষ-১৪২৬♣
আধার ভেদ করে সূর্যকিরণ প্রতি জীবন দুয়ারে পৌছে যাক যাপিত জীবনের যাবতীয় গ্লানি ভুলে, এসো রাঙিয়ে তুলি বাংলার নতুন বছর! ♥শুভ নববর্ষ♥
tag: bangla notun bocorer sms, bangla new year sms, bangla noborsher sms, bangla 12 masher namkoroner history, itihas, bangla noborsher history, pohela boisakhi sms,massage best collection, noborso wish sms, bangla noborso sms1425.noboborsho wish sns, bangla notun bocorer sms, pohela boisakhir wish sms,subecha sms,বাংলা নববর্ষের বাংলা এসএমএস, পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা এসএমএস, নতুন বছরের এসএসএম,বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ নতুন এসএমএস।বাংলা নববর্ষের ইতিহাস। কবে থেকে পহেলা বৈশাখ পালন / উদযাপন করা হয়, বাংলা মাসের নামকরন কিবাবে করা হয়,
EmoticonEmoticon